ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ لا إِلَهَ إِلا هُوَ فَأَنَّى تُؤْفَكُونَ
সেই আল্লাহই, তোমাদের প্রতিপালক, সব কিছুর স্রষ্টা, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই, তবুও তোমাদেরকে কোথায় ফিরানো হচ্ছে?
সূরা গাফের/মুমিনঃ ৬২
উপরের আয়াতগুলিতে আল্লাহর রুবুবিয়্যাত বা প্রভুত্ব ও কর্তৃত্বের সাথে সাথে তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে, তাই যারা নাস্তিক ও ধর্মহীন, তারা এই প্রশ্নগুলির দিকে দৃষ্টিপাত করুক এবং চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করুক। আল্লাহ বলেছেন-
أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخَالِقُونَ
তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে নাকি তারাই স্রষ্টা?
সূরা আত-তুরঃ ৩৫
قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ اِنۡ اَصۡبَحَ مَآؤُکُمۡ غَوۡرًا فَمَنۡ یَّاۡتِیۡکُمۡ بِمَآءٍ مَّعِیۡنٍ ﴿٪۳۰﴾
বল, ‘‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভের তলদেশে চলে যায়, তাহলে তোমাদেরকে কে এনে দেবে প্রবহমান পানি?’’
সুরা মূলক এর ২৮-৩০ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ হে নবী (সঃ)! যে মুশরিকরা আল্লাহ তা'আলার নিয়ামতরাজিকে অস্বীকার করছে তাদেরকে বলে দাও- তোমরা এটা কামনা করছে যে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই, তাহলে মনে কর যে, যদি আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্তই করেন অথবা তিনি আমার উপর এবং আমার সঙ্গীদের উপর দয়াপরবশ হন তবে তোমাদের তাতে কি? এর ফলে তোমাদের মুক্তি নেই। তোমাদের মুক্তির উপায় তো এটা নয়! মুক্তি তো নির্ভর করে তাওবার উপর, তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়ার উপর এবং তাঁর দ্বীনকে মেনে নেয়ার উপর। আমাদের রক্ষা বা ধ্বংসের উপর তোমাদের মুক্তি নির্ভর করে না।
সুতরাং আমাদের সম্পর্কে চিন্তা পরিত্যাগ করে নিজেদের মুক্তির উপায় অনুসন্ধান কর। এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ আমরা পরম করুণাময় আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি। আমাদের সমস্ত কাজ কারবারে আমরা তাঁরই উপর নির্ভর করি। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “তোমরা তাঁরই ইবাদত কর এবং তাঁরই উপর ভরসা কর।” সুরা হুদ এ (১১:১২৩) মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি মুশরিকদেরকে আরো বলে দাও- শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে। অর্থাৎ হে মুশরিকরা! তোমরা অচিরেই জানতে পারবে যে, দুনিয়া ও আখিরাতে কে পরিত্রাণ লাভ করে আর কে হয় ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত। হিদায়াতের উপর কে রয়েছে, আর কার উপর আল্লাহর গযব পতিত হয়েছে এবং মন্দ পথে আছে কে?
মহামহিমান্বিত আল্লাহ এরপর বলেনঃ যে পানির উপর মানুষের জীবন নির্ভরশীল এই পানি যদি যমীন শোষণ করে নেয় অর্থাৎ এই পানি যদি ভূগর্ভ হতে বেরই না হয় এবং তা বের করার জন্যে তোমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেও যদি অসমর্থ হও তবে আল্লাহ ছাড়া কেউ আছে কি যে এই প্রবহমান পানি তোমাদেরকে এনে দিতে পারে?
অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কেউই তোমাদেরকে এ পানি এনে দিতে পারে না। একমাত্র আল্লাহই এর উপর ক্ষমতাবান। তিনিই আল্লাহ যিনি তাঁর ফযল ও করমে পবিত্র ও স্বচ্ছ পানি ভূ-পৃষ্ঠে প্রবাহিত করে থাকেন যা এদিক হতে ওদিকে চলাচল করে এবং বান্দাদের প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে। আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা মানুষের প্রয়োজন অনুপাতে নদী প্রবাহিত করে থাকেন।
0 মন্তব্যসমূহ