ক্লোষ্ট্রিডিয়াম পারফ্রিনজেন্স নামক একধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। মূলত ২-১২ সপ্তাহ বয়সের মুরগিতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী দেখা যায়। মৃত্যুহার লেয়ার মুরগির তুলনায় ব্রয়লার মুরগিতে বেশী হয়ে থাকে। এ রোগটির সংক্রামণ সাধারণত কোনরূপ পূর্ব লক্ষণ প্রকাশ না করেই ঘটতে পারে। পুরাতন লিটার ফেলে না দিয়ে পুনঃব্যবহার করলে রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। আর পুরাতন লিটারের মধ্যে এই রোগটির স্পোর বা বীজ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। আমাশয় হলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়।
রোগের লক্ষণঃ
এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রধান লক্ষন গুলো হচ্ছে
- মোরগ-মুরগি ভীষণ ভাবে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
- প্রচন্ড ডায়রিয়া দেখা দেয় এবং লক্ষণ প্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যু হয়।
- মোরগ-মুরগির ডানা ঝুলে পড়ে, ঠিকঠাক ভাবে দাঁড়াতে পারে না।
এ ছাড়াও অন্যান্য লক্ষণ গুলোর মধ্যে
- পালক উস্কো-খুস্কো হয়ে যাওয়া।
- ঠোট দিয়ে লালা পড়া।
- বুকের মাংস কাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি অন্যতম।
পরিবেশঃ
শীতকাল এবং গরমকালের পড়ে সাধারণত এ রোগের পাদুর্ভাব ঘটে।
পোষ্ট মর্টেম লক্ষণঃ
- কলিজার আকার বড় হয়ে যায়, হলুদাভ রং হয় এবং রক্তক্ষরণ দেখা দেয়। ক্ষুদ্রান্ত্রে রক্তক্ষরণ হয় এবং গ্যাস জমে বেলুনের মতো ফুলে উঠে। অনেক সময় ক্ষুদ্রান্ত্রে সাদা রঙের দেখা দেয়।
কারণ সমুহঃ
- আমাশয় হলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়।
- হঠাৎ খাবার বদলালে।
- এস্কারেড কৃমি
- লিটার ভেজা বা দলা থাকলে।
- এন্টিবায়োটিক বা গ্রথ প্রমোটার খাবার থেকে বাদ পড়লে।
নেক্রোটিক এন্টারাইটিস এর চিকিৎসাঃ
এ রোগে আক্রান্ত মুরগীকে Moxacilline অথবা Amoxycilline অথবা Cotra-Vet Powder (কট্রা-ভেট পাউডার) Electrolyte Powder (ইলেকট্রোমিন পাউডার) এ জাতীয় ওষুধের ব্যবহার করা যেতে পারে।
বি দ্রঃ আমি কোনো চিকিৎসক নই, আমি আমার অভিজ্ঞতা + বড় বড় চিকিৎসক এর পরামর্শ গুলো তুলে ধরলাম মাএ। তাই ওষুধ সমন্ধে ভালো অভিজ্ঞতা না থাকলে নিকটস্থ ভেটেরিনারি চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে মেডিসিন ব্যবহার করবেন।
0 মন্তব্যসমূহ