আমাদের বাসার চারিদিকে ছড়িয়ে আছে আমাদের দেশিও ভালোবাসার এই পাখিটি বসত বাড়ীর চারিদিকে যা ঘুরে বেড়ায়, আর বসতবাড়িতে পালিত হাঁস বিভিন্ন রকম রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে বহুবিধ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে এর মধ্য উল্যেখ্যোগ্য সংক্রামক গুলো হচ্ছে -
ভাইরাসজনিত রোগ -
রানীক্ষেত,
বসন্ত,
গামবোরো,
মারেক্স,
পক্ষাঘাত রোগ ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ -
কলেরা,
টাইফয়েড,
সাদা উদরাময়,
এভিয়ান সালমোনেলোসিস।
আর ছত্রাকজনিত রোগ গুলো হলো -
ব্রুডার নিউমোনিয়া,
ফেভাস,
থ্রাস,
মাইকোটিক্সিকোসিস।
এছাড়া পরজীবী ঘটিত রোগ হচ্ছে -
মাইকোপ্লাজমোসিস,
ককসিডিওসিস,
কৃমি,
উকুন ইত্যাদি।
সবগুলো রোগকে পরবর্তীতে এক এক করে প্রকাশ করা হবে।
এই রোগটি প্রথমে ইংল্যান্ডের নিউক্যাসেল নামক স্থানে শনাক্ত করা হয়। পরে ভারতের রানীক্ষেত নামক স্থানে শনাক্ত করা হয়।
লক্ষণ
আক্রান্ত মুরগি ও বাচ্চা ঘরের কোণে বা নিরিবিলি স্থানে ঝিমায়।
প্রতিরোধ ও প্রতিকার।
সে লক্ষ্যে আজকের প্রতিবেদনে থাকছে হাঁসের গুরুত্বপূর্ণ রোগ রানীক্ষেত এর ব্যবস্থাপনা নিয়ে।
নিউক্যাসেল এর কারনে এই ডিজিজ ভাইরাস থেকে সংক্রমণ হয়।
সাদা চুনের মত মলত্যাগ করে। তবে মল সবুজ, হলুদ ও সবুজ হলুদের মিশ্রণ হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট হয়। মুরগি ‘হা’ করে শ্বাস নেয়ার চেষ্টা করে। ঘড় ঘড় শব্দ করে।
ঘাড় বাঁকা হয় ও মাথা ঘুরাতে থাকে।
দুর্গন্ধযুক্ত মল মুরগির পিছনে পালকে লেগে থাকে।
নাক ও মুখ দিয়ে তরল পদার্থ বের হয়।
চোখ ফুলে ওঠে, কানের লতি ও মাথার ঝুঁটি কালচে বর্ণ ধারণ করে।
ডিমপাড়া মুরগি ডিম পাড়া বন্ধ করে।
পাখা বা ডানা নিচের দিকে ঝুলে পড়ে।
মুরগি হঠাৎ করে মারা যায়।
সুস্থ মুরগি থেকে অসুস্থ মুরগি পৃথক করা।
মৃত মুরগি মাটিতে পুঁতে ফেলা।
টিকা দেয়া ৭ দিন ও ২১ দিন বয়সের বাচ্চা মুরগিতে বিসিআরডিভি প্রতি চোখে ১ ফোঁটা করে দিতে হয়। দুই মাসের বেশি বয়সের মুরগির রানের মাংসে আরডিভি ১ সিসি করে ইনজেকশন দিতে হয়।
আক্রান্ত হওয়ার পর কোন চিকিৎসা বা প্রতিকার নেই। তবে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা নেয়া যেতে পারে
জেন্টামাইসিন ইঞ্জেকশন ১ টি করে দিনে দুবার
ইরাপ্রিম পাউডার দিনে ২ বার দেওয়া যেতে পারে
রিবোসিন ট্যাবলেট দিনে ১ টি করে দেওয়া যেতে পারে
লাইসোভিট পাওডার দিনে ১ বার করে দেওয়া যেতে পারে
এর পর সুস্থ হলে ভ্যাক্সিন দিয়ে দিতে হবে।
রানীক্ষেত রোগ
জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ জীবাণু প্রবেশ বা সংস্পর্শ প্রতিরোধ করা।
0 মন্তব্যসমূহ