অত্যন্ত ছোঁয়াচে তীব্র প্রকৃতির ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে ক্ষুরারোগ অন্যতম। বাংলাদেশে গরুতে এ রোগের তীব্রতা অত্যাধিক এবং মড়ক আকারে দেখা যায়। এ ছাড়া মহিষে এ রোগের তীব্রতা কিছুটা কম। বাংলাদেশের সব ঋতুতেই ক্ষুরারোগ দেখা গেলেও সাধারণত বর্ষার শেষে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি পরিলক্ষিত হয়।
লক্ষণ: শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়; জিহ্বা, দাঁতের মাড়ি, সম্পূর্ণ মুখ গহ্বর, পায়ের ক্ষুরের মাঝে ঘা বা ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ক্ষত সৃষ্টির ফলে মুখ থেকে লালা ঝরে, সাদা ফেনা বের হয়। কখনোবা ওলানে ফোসকা পড়ে। পশু খোঁড়াতে থাকে এবং মুখে ঘা বা ক্ষতের কারণে খেতে কষ্ট হয়। অল্প সময়ে পশু দুর্বল হয়ে পরে। এ রোগে গর্ভবতী গাভীর প্রায়ই গর্ভপাত ঘটে। দুধালো গাভীর দুধ উত্পাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। বয়স্ক গরুর মৃত্যুহার কম হলেও আক্রান্ত বাছুরকে বাঁচিয়ে রাখা খুবই কঠিন।
করণীয়: আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখতে হবে। অসুস্থ পশুর ক্ষত পটাশ বা আইওসান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। ফিটকিরির পানি ১০ গ্রাম (২ চা চামচ) ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। সোহাগার খৈ মধু মিশিয়ে মুখের ঘায়ে প্রলেপ দিতে হবে। নরম খাবার দিতে হবে। পশুকে শুষ্ক মেঝেতে রাখতে হবে; কোনো অবস্থায়ই কাদা মাটি বা পানিতে রাখা যাবে না। সুস্থ অবস্থায় গবাদিপশুকে বছরে দু’বার প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে। খাওয়ার সোডা ৪০ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে পায়ের ঘা পরিষ্কার করে সালফানাসাইড পাউডার লাগাতে হবে। সালফানাসাইড/টেট্রাসাইক্লিন অথবা উভয় ওষুধ ৫ থেকে ৭ দিন ব্যবহার করতে হবে।
রোগের বিস্তার: ক্ষুরারোগে আক্রান্ত পশুর লালা, ঘায়ের রস, মলমূত্র, দুধ ইত্যাদির মাধ্যমে এই ভাইরাস নির্গত হয়। এ ভাইরাস দ্বারা বাতাস ও খাদ্যদ্রব্য দূষিত হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস ও খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে সংবেদনশীল পশুতে সংক্রমিত হয়।আক্রান্ত গরু ও মহিষের সংস্পর্শে এ ভাইরাস সুস্থ পশুতে সংক্রমিত হয়।আক্রান্ত পশুর ব্যবহূত দ্রব্যাদি ও পশুজাত দ্রব্যের (চামড়া, মাংস, দুধ ইত্যাদি) মাধ্যমে এ ভাইরাস একস্থান থেকে অন্যস্থানে এমনকি একদেশ থেকে অন্যদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিরোধে বিধিব্যবস্থা: রোগ যাতে না ছড়ায় সে জন্য আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু হতে আলাদা করে চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে হবে। রোগাক্রান্ত পশুকে শুকনো জায়গায় রাখতে হবে, কোনো অবস্থাতেই কাদাজলে রাখা যাবে না; গোয়াল ঘর বা রুগ্ন পশুর ব্যবহূত দ্রব্যাদি ১-২ % কষ্টিক সোডা (১ বা ২ গ্রাম কষ্টিক সোডা ১০০ মি. লি. পানিতে মেশাতে হবে) বা ৪% সোডিয়াম কার্বোনেট (৪ গ্রাম সোডিয়াম কার্বোনেট ১০০ মি.লি. পানিতে মেশাতে হবে) দিয়ে পরিস্কার করতে হবে; ক্ষুরারোগে মৃত পশুকে ৪/৫ পুট মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে, কোনো ক্রমেই খোলা স্থানে ফেলে রাখা যাবে না। ক্ষুরা রোগের টিকা স্থানীয় পশু হাসপাতালে পাওয়া যায় যা সময়মত দিলে ক্ষুরারোগের আক্রমণ প্রতিহত করা যায়।
কিন্তু বর্তমান সময়ে আমার নিজের চেষ্টায় আমি পরীক্ষা করে দেখেছি যে ১ দিন বয়সের বাচুর গরু হলেও এ রোগ থেকে বাচিঁয়ে রাখা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে আগে যা করতে হবে সেটা হলো এলাকায় ক্ষুরা রোগ শুরু হলে কমকরে ৫/৭ দিন আগে বাচুর দের চিকিৎসা নিতে হবে যা অনেক ডাক্তার সাজেশন না দিলেও আমার এলাকায় আমি সহ অনেকের বাচুরের উপর চিকিৎসা চালায়ে সফল হয়েছি। তাই যেহেতু আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে সফল হয়েছি তাই সবাই যেন উপকৃত হয় এটাই আমার লক্ষ। আপনারা আগ্রহ প্রকাশ করলে আমি পরের পোস্টে জানিয়ে দিতে চেষ্টা করবো ই-শ-আল্লাহ। বিস্তারিত জানতে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন কিন্তু অযাথা গালিগালাজ বা ইনবক্সে মেসেজ দিবেন না।
এবং এ রোগের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ১০ মিনিটের মধ্যে দ্রুত খাবার গ্রহন শুরু করে এবং ভালো হয় বিস্তারিত জানতে এই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন।
0 মন্তব্যসমূহ