এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে করীমে এরশাদ করেছেন, হে ইমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা ‘পরহেজগার’ হতে পার। (সূরা বাকারা) মূলত ‘মুত্তাকি’ বানানোই হচ্ছে রোজার কিংবা সিয়াম সাধনার আসল উদ্দেশ্য।
বিশ্ব মুসলিমের কাছে মাহে রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণেই রমজানের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রতিটি মুসলিমের অফুরন্ত আবেগ ও নিখাদ শ্রদ্ধা।
মাহে রমজানের কতখানি গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ তা স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসে বর্ণিত রয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা (রাদি.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সিয়াম ঢাল স্বরূপ। সূতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মুর্খের মতো কাজ করবে না। যদি কেউ তার (রোজাদার) সঙ্গে ঝগড়া করতে চায়, তাকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুইবার বলে, আমি সাওম পালন করছি, তথা আমি রোজাদার। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই রোজা পালনকারির মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমারই জন্য, তাই এর পুরষ্কার আমি নিজেই দান করবো। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় হবে দশগুণ। (বুখারী)
প্রকৃতপক্ষে রমজান মাসের তাৎপর্য বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। এজন্যেই রমজান মাসকে মহানবী (সা.) নিজেই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আরো জানতে নিছের ভিডিওটি দেখুন
0 মন্তব্যসমূহ