Header Ads Widget

গায়ে হলুদ পালনের রহস্য জানেন কি? এগুলো করা কি ইসলামসম্মত?

 বিবাহ জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন। প্রয়োজন পূরণে সবাই একে অন্যের মুখাপেক্ষী। বিবাহ অতি গুরুত্ববহ একটি ইবাদত এবং নবী কারীম সা. এর একটি সুন্নতও বটে। যেমন- নবী কারীম সা. ইরশাদ করেছেন, বিবাহ আমার একটি সুন্নাত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত থেকে বিমূখ-বিতৃষ্ণ হবে, সে আমার উম্মত নয়। তবে প্রশ্ন বিবাহেগায়ে হলুদবাহলুদ বরণ’; কী বলে ইসলাম? বিষয়েও আলোচনা থাকছে সামনে।


উজ্জ্বল এবং ঝলমলে ত্বকের জন্য হলুদ
ত্বককে উজ্জ্বল করতে বিশেষভাবে উপকারি হলুদ। হলুদ ব্যবহারে বিয়ের দিন আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ঝলমলে করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে, এটি ত্বকের মৃত কোষগুলো সরিয়ে ত্বককে চকচকে করে।       



বিশেষজ্ঞরা মনে করেন
হলুদের স্নিগ্ধতা মনকে শুদ্ধ করে। এতে বড় কনের বিয়ে ভীতি দূর হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে হলুদ ব্যবহারে বিবাহের আগের ক্লান্তি রোধ করতে সহায়তা করে। হলুদে কারকুমিন নামক রাসায়নিক রয়েছে। এটি মাথা ব্যথা, দেহের প্রদাহ এবং উদ্বেগের প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। মনকে শান্ত করার জন্যও এটি দুর্দান্ত উপাদান।




প্রশ্ন : বিয়ের সময় বর-কনের গায়ে গলুদ লাগানো হয় এগুলো করা কি ইসলামসম্মত? 

উত্তর : গায়ে হলুদ শুধু আমাদের কালচার, তা ঠিক নয়। ইসলামী কালচারের মধ্যে এটা আসেনি। কিন্তু এটা কোনো গুনাহের কাজ নয়। এটা যদি ইবাদত হিসেবে গ্রহণ করে, তাহলে ভুল হবে। এটা ইবাদতের বিষয় নয়। এটা হচ্ছে এলাকার প্রচলন হিসেবে। সৌন্দর্যের জন্য এটা করা যেতে পারে। এখন ছেলেরা মেয়েদের আবার মেয়েরা ছেলেদের আনুষ্ঠানিকভাবে গায়ে হলুদ দেয়, তা ঠিক নয়। এগুলো পুরোটাই শরিয়াহ অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়। এই আনুষ্ঠানিকতা ইসলামে কোথাও আসেনি। তবে ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ গায়ে হলুদ মাখে, তাহলে সেটা জায়েজ। অনানুষ্ঠানিকভাবে যদি কেউ সৌন্দর্যের জন্য মেহেদি দিয়ে কাউকে সাজায়, সেটা জায়েজ আছে |

 

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ