Header Ads Widget

ডিম বিরিয়ানি রেসিপি

 মাছ বা মাংসের বিরিয়ানি তো কমবেশি সবাই খেয়েছেন। তবে কখনো কি ডিম বিরিয়ানি খেয়েছেন? এটি খুবই সুস্বাদু একটি রান্নার রেসিপি । চাইলে খুব সহজেই তৈরি করা যায় এই বিরিয়ানি।

বিরিয়ানির যে আইটেমটি আপনি সবচেয়ে সহজে রান্না করতে পারবেন, সেটি হলে ডিম বিরিয়ানি। এটি রান্নাতে সময়ও খুব বেশি দরকার পড়বে না। অতিথি আপ্যায়নে কিংবা শিশুর টিফিনেও রাখতে পারেন এই খাবারটি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকেরর এই মজাদার রেসিপি- 


প্রথমে আমই ৪টি ডিমকে একটি পাতিলে নিয়ে সাথে একটু নুন দিয়ে মাঝারী তাপে সিদ্ধ করতে বসিয়ে দিলাম ।

এর মাঝে আমি চাউল টাকে জলে ধুয়ে পরিস্কার করে ভিজিয়ে রাখবো । একখানে আমই ৩০০ গ্রাম এর মতো বাস্মতি চাউল নিয়ে নিয়েছি, তবে মনে রাখবেন চালে সাদা জল না আসা পর্যন্ত জল চেঞ্জ কওরে নিবেন । 

এখন বেরেস্তার জন্য ২০০ গ্রাম পিঁয়াজ এভাবে কেটে নিচ্ছি মনে রাখবেন পিয়াজের পিস গুলো যেন সমান ভাবে কাটা হয়,  সাথে কুঁচি করে কেটে নিচ্ছি কিছু ধনে পাতা এবং কিছু পুদিনা পাতা।

 

ডিমগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে খোসা ছড়িয়ে একটি প্যানে একটু তেল গরম করে তাতে একটু নুন এবং হলুদ গুরো দিয়ে ডিমগুল এভাবে নাড়িয়ে নিয়ে নামিয়ে নিবো ।


এরপর নিয়ে নিয়েছি ১/২ চামুচ শাহিজিরা, ১/২ চামুচ গোটা ধনে, ৪/৫টি লবঙ্গ, ৪টি এলাচ, ২ খণ্ড দারুচিনি এবং একটি স্টার, 


একখন বিরিয়ানি রান্নার পাতিলে কিছু পরিমান তেল দিয়ে এই মসলা গুলো দিয়ে ভেজে নেবো ।

যখন এটা জিরা গুলো  ফুটতে শুরু করবে এতে দিয়ে নিবো কুঁচি করা পিঁয়াজ। 


অনেকেই আছেন যারা হজমের সমস্যায় অল্পবিস্তর ভুগে থাকেন। তারা সাধারনত বিরিয়ানির মতো খাবার এড়িয়ে চলেন। তবে তারা জানলে হয়তো অবাক হবেন এই বিরিয়ানিই আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। নেপথ্যে কাজ করে বিরিয়ানির মশলা। হলুদ, আদা, জিরে দিয়ে বানানো বিরিয়ানির মশলা হজমে সাহায্যকারী এনজাইমকে সক্রিয় করে।


পিঁয়াজগুলো ব্রাউন কালার হতে শুরু করলে অল্প কিছু পিঁয়াজ ঊঠিয়ে রেকখে দিবো বেরেস্তার জন্যে। এরপর একখানে দিয়ে নিচ্ছি ২ চামুচ আদা বাটা, ২ চামুচ রসুন বাটা,১ চামুচ কাশমিরি লঙ্কা গুরো কাশমিরি না থাকলে শুঁকনো মরিচ গুরো এবনং ১ চামুচ হলুদ গুরো  দিয়ে ভালো ভাবে হালকা তাপে নাড়িয়ে নিবো । ভাল ভাবে নাড়িয়ে নিয়ে চুলার তাপকে কমিয়ে দিয়ে এখানে দিয়ে নিচ্ছি ১ টমেটো এবং ২চামুচ টক দইয়ের মিশ্রন একখন এটাকে ভালো ভাবে নাড়িয়ে নিবো যেন টক দই টা ফেটে না যায় ।


এভাবে ১/২ মিনিট নারিয়ে নিয়ে তাতে দিয়ে দিচ্ছি ডিম এবং ১/২ কাপ জল এবার একটি ঢাকুনি দিয়ে ৪/৫ মিনিট মাজঝারি তাপে রান্না করে নিবো যেন টমেটোর কাঁচা ঘ্রান না বের হয়। 

৪/৫ মিনিট পর এটাকে নামিয়ে নিবো ।


এবার আমি চাউল গুলো জল ঝরিয়ে নিবো,

একটি আলাদা পাত্রে জল নিয়ে  তাতে দিয়ে দিচ্ছি একটু শাহিজিরা, কিছু ধনে এবনং পুদিনা কুচি, ২ খন্দ দারুচিনি এবং ৩ টি এলাচ। সাথে  দিয়ে নিচ্ছি সামান্য পরিমান তেল ।

জল ফুটে উঠলে দিয়ে দিবো চাউল এর সাথে ১ চামুচ ভিনেগার, ভিনেগার না থাকলে ১ চামুচ লেবুর রস দিয়ে নিবেন চাউলকে ধবধবে সাদা করার জন্য , এর শসাথে পরিমান মত নুন। 

চাউল গুলো ৮০ ভাগ ফুটে গেলে জল ঝরিয়ে অন্য পাত্রে তুলে নিয়ে নিবো।

বিরিয়ানি নিয়ে সাধারণের মনে অনেক মিথ রয়েছে। অনেকেই হয়ত জানেন না পুষ্টি দেওয়ার পাশাপাশি শরীরের অনেক সমস্যার নিঃশব্দ ওষুধ হিসেবে কাজ করতে পারে এই বিরিয়ানি!


 আমি চুলায় একটা গাসের চাটো বসিয়ে দিয়ে বিরিয়ানির পাতিল টাকে বসিয়ে নিয়ে চাউল টাকে দিয়ে দিবো। তবে চাউল দেওয়ার আগে কিছু পুদিনা পাতা এবং ধনে পাতার কুচি দিয়ে নিবো। 

চাউল গুলো এভাবে সুন্দর করে ছড়িয়ে দিয়ে আবার ধনে এবং পুদিনা পাতার কুছি দিয়ে নিচ্ছি। এরপর বিরিয়ানির মসলা ছড়িয়ে  নিবো 

৫০ গ্রাম দুধ, ১/ চামুচ গোলাপ জল ১/৪ চামুচ কেওরা  এবং কয়েক ফোটা ফুড কালার মিশ্রিত পানি। 

এরপর আমাদের বাকি যে বেরেস্তা আছে তা দিয়ে দিবো। 

এখন আমি একটা সিলভার ফয়েল দিয়ে মুড়িয়ে নিবো অথবা ঢাকনা দিয়ে চারিদিকে আটা দিয়ে দিয়ে দিতে পারেন। 

এখন এটাকে প্রথম ৫ মিনিট ফুল তাপে এবং পরেন ১০ মিনিট খুব কম তাপে রাখবেন ঠিক ১৫ মিনিট পরে দেখবেন এ রকম ধোঁয়া ছাড়তে শুরু করেছে।


এখন গ্যাসের তাপ  বন্ধ করে দিতে হবে এবং ঠিক এভাবেই ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখতে হবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

ডিটক্সিফিকেশনের জন্য বিরিয়ানির থেকে ভালো আর কিছু হতেই পারে না। বিরিয়ানির মধ্যে যে মশলাগুলি ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে ভরপুরমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা অভ্যন্তরীণ অঙ্গের জন্য সহায়ক। আদা, রসুন, হলুদ, কালো মরিচ, জিরার মধ্যে রয়েছে ডিটক্সিফিকেশন ক্ষমতা। এরমধ্যে থাকে জাফরান, যা শরীরের জন্য আরও উপযোগী।


দেখতেই পাচ্ছেন চাউল সুন্দরভাবে আলাদা হয়েছে এবং দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে আমি এগুলো তুলে দেখাচ্ছি দেখতেই পাচ্ছেন একটু ভেজা ভেজা হয়ে গেছে যেটা খেতে অনেক সুন্দর এবং সুস্বাদু 

আপনারা সবাই এটা বাসায় বানিয়ে বানিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। আর হ্যাঁ ভিডিওটি কেমন হয়েছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আপনাদের যেকোন প্রয়োজনে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ