তাবিজ বিষয় এর আগে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর আমরা বলেছি একথা আজও যেহেতু নতুন করে এসেছি বিষয়টি আমরা আবারও বলছি তাবিজের বিষয়ে আমরা যে মতটিকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী এবং বিশুদ্ধ মনে করি, দলিলের দিক থেকে সেটি হলো, যদি কোরআনের কোন আয়াত দিয়ে তাবিজ লেখা হয়, হাদিসে বর্ণিত কোন দোয়া লেখা হয়, কোরআনের কোন কোন আয়াত যদি লেখা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে এই তাবিজ মানুষের শরীরে ধারণ করে যদি কেউ মনে করে এবং তার বিশ্বাস যদি থাকে যে আল্লাহ রব্বুল আলামীন আরোগ্যদাতা আল্লাহর কালাম এটির মাধ্যমে আমি আরোগ্য লাভের চেষ্টা করছি আশা করছি শুধুমাত্র, তাহলে সে ক্ষেত্রে এ তাবিজকে ইমাম তাইমিয়া (রঃ) সহ অনেকেই এটিকে জায়েজ মনে করেছেন।
তবে সুন্নাহ এবং নবী কারীম (সাঃ) এর যে পন্থার কথা আমরা জানি সেটি কিন্তু এটি নয় অর্থাৎ নবী করিম সল্লালাহ সাল্লাম কখনো কোন তাবিজ ধারণ করেন নি কাউকে দেননি কাউকে দিতে বলেননি কোরআনে কারিম শেফা হিসেবে এসেছে এবং নবী (সাঃ) কুরআনে কারীম কে সেফা হিসেবে গ্রহণ করেছেন কিন্তু তার পদ্ধতি টা ছিল ঝাড়ফুঁক অতএব সুন্নাহ হল ঝাড় ফুকের পদ্ধতিতে যাওয়া তাবিজ এটি সুন্নাহ নয়, আর আমাদের দেশে তাবিজের সবচেয়ে বড় অংশ হলো, সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে লেখা ফেরাউন হামান নমরুদ এগুলো লিখে লিখে তাবিজ লেখার পর তারা যা করেন তা তাদের পেশা বানিয়ে নিয়েছে, এখানে আপোষের তাবিজ, বিচ্ছেদের তাবিজ, হেন কোন কাজ নেই এই গুলো থেকে মানুষ দূরে আছে তাদের দিকে চলে যায় অতএব এই দুয়ার বন্ধ করার জন্য হলেও প্রচলিত তাবিজের যে প্রথা আছে এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা উচিত এবং সুন্নাহ সম্মত যে কোরআনুল কারিমকে সেফা হিসেবে গ্রহণ করার যে পদ্ধতি নবী কারীম (সাঃ) থেকে আমরা পাচ্ছি সেটা কে আমাদের গ্রহণ করা উচিত সাহাবায়ে কেরামদের মাঝে ঝাড়ফুঁকের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল সেই সুন্নাহকে আমাদের আঁকড়ে ধরা উচিত এবং সুন্নাহ যা নয় এবং নবী করিম (সাঃ) যা করেননি এবং যে পদ্ধতি তার থেকে বর্ণিত হয়নি সেটি কেন আমাকে করতে হবে কোরআনকে সেফা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য সুনির্দিষ্ট আদর্শ রয়েছে সেটিকে গ্রহণ করে হল নিরাপদ।
আর দ্বিতীয়তঃ হল তাবিজের মাধ্যমে যায়েজ তাবিজের ফাঁক দিয়ে নাযায়েজ তাবিজ যদি 5% পার্সেন্ট বা ১০% হয় এবং ৯০% জায়েজ হয় তাহলে সেরকম তাবিজ গুলো ধারণ করলে সেটিও শিরকের গুনাহ হবে যেমন নবী করিম সাঃ তার হাদিসে বিভিন্ন ভাবে বলেছেন তাবিজ এর মধ্যে যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নাম বা এই ফেরাউন নমরুদ সাংকেতিক চিহ্নের মধ্যেে নানারকম উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাংকেতিক চিহ্ন থাকে সাংকেতিক চিহ্নের মধ্যে নানা ধরনের ইতিহাস থাকে যা আমরা বলেছি এগুলো যদি ধারণ করেন এবং.
অনেকে দেখা যায় গাছের গোড়া টোরা ইত্যাদি লাগিয়ে রাখেন এগুলো ঈমানদারের জন্য করা উচিত নয় সেগুলো শিখের অন্তর্ভুক্ত।
হিন্দুর মধ্যে মাদুলি প্রচলিত প্রথার প্রচলন আছে অতএব কোরআন কে নবী করিম সল্লালাহ সাল্লাম যেভাবে সেফা হিসেবে গ্রহণ করেছেন আমরাও সেটাকে সেভাবেই গ্ররহণ করব তাবিজ দেয়া এটা অনেক লোকের একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে লোভে পরিণত হয়েছে এবং পেশা এবং পয়সার তাগিদে আপনার হেন কোনো অপকর্ম নাই সেটা তাবিজের ব্যবসায়ীরা তারা করেন না ইল্লামারহিিমা রব্বি খুবই কম পরিমাণ মানুষ বাদে অতএব যেখানে বেশিরভাগই হয় অন্যায় সেই পথটি বন্ধের দিকে আমাদের বোধয় যাওয়া উচিত আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বোঝার তৌফিক দান করুন. আমিন।
- শায়খ আহামাদুল্লাহ
0 মন্তব্যসমূহ