Header Ads Widget

মারেক্স রোগ কি এর বিস্তার এবং প্রতিকার

মারেক্স  রোগ কিঃ

মারেক্স রোগ মূলত ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ যা সাধারনত মুরগীকে আক্রান্ত করে তবে কোয়েল ও টার্কির মত প্রাণীদের এই রোগে বেশী পরিমাণে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এই রোগের আক্রান্তের হার শতকরা ৩০% বা তার উপরে হয়ে থাকে। সাধারণত ৪-২০ সপ্তাহ পর্যন্ত এই রোগে মুরগী আক্রান্তের হার বেশী হয়। 


মারেক্স রোগের বিস্তারঃ

- মারেক্স রোগ আক্রান্ত মুরগী থেকে সুস্থ মুরগীতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরে।

- এই ভাইরাসের জীবানু বাতাসে ছড়াতে পারে।

- বাতাসে থাকা জীবানু শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে পাখির শরীরে প্রবেশ করে সংক্রামন ঘটায়।

- সংক্রমিত মুরগী নিজেই ভাইরাসে বাহক হিসাবে কাজ করে এবং আশেপাসের পরিবেশ সংক্রমিত করে।

- পালকের খুদাংশের বাতাসে ভেসে এ রোগের বিস্তারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। 

- এই রোগের জীবানু ধুলাবালি বা মলে প্রায় এক মাস পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে এবং নতুন মুরগীকে সংক্রমিত করতে পারে। 

মারেক্স রোগের উপসর্গঃ

- মুরগী এই রোগে আক্রান্ত হলে মুরগির নার্ভাস সিষ্টেম আক্রান্ত হয়ে আক্রান্ত মুরগীর ডানা জুলে যাবে, ঘাড় ঘুড়াতে  পারবেনা।

- আক্রান্ত মুরগী এক পা সামনের দিকে এবং অন্য পা পেছনের দিকে সোজা করে রাখবে।

- আক্রান্ত মুরগীর চোখের টিউপিল অস্বাভাবিক আকারের বড় হবে। চোখ ধুসর বর্নের হয়ে যেতে পারে।  

- সংযোগস্থলে টিউমারের উপস্থিতি দেখা যায়।

- আক্রান্ত মুরগীর ওজন হ্রাস বা ফেকাসে ভাব এবং জুটি সংকোচিত হয়ে যাওয়া, খুদা মন্দা ও ডায়রিয়া। 

- আক্রমনের শুরুতে মুরগী আংশিক পক্ষাঘাত এবং পরবর্তী পর্যায়ে সম্পূর্ণ পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে যাবে।

- এছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে কোন লক্ষন প্রকাশের পূর্বেই  মুরগী মারা যায়।


পোষ্টমর্টেম রেজাল্টঃ

- আক্রান্ত মুরগীর কলিজা প্লীহা, কিডনি, ফুসফুস, হ্রদপিন্ড এবং কংকালে ধুসর সাদা মৃত কোষের উপস্থিতি দেখা যায়।

- আক্রান্ত মুরগীর প্রোভেনটিকোলাস অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যায়।

- আক্রান্ত মুরগীর ডিম্বাসয়, কিডনি, যকৃতপ্লীহা, ফুসফুস এবং হ্রদপিন্ড বড় হয়ে যায়।

- আক্রান্ত মুরগীর আয়স্নায়ু কান্ডু পাতলা ও চিকন হয়ে যায়। 


চিকিৎসা পদ্ধতিঃ

এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই, তবে দ্বিতীয় পর্যায়  ভিটামিন, ইলেকট্রোলাইট ও এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে এ রোগের সংক্রমন রোধ করা সম্ভব। 


মারেক্স রোগের প্রতিরোধঃ

- নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে

- জীবানু মুক্ত স্বাস্থকর পরবেশ বজায় রাখতে হবে। 

- সপ্তাহে কমপক্ষে একবার জীবানুনাষক ব্যবহার করে জীবানু মুক্ত রাখতে হবে।

- সুষম খাদ্য ও পরিস্কার জীবানুমুক্ত পানি সরবরাহ করতে হবে।

- সুস্থ মল নিস্কাষন ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে।


বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এখানে আমি বড় বড় ডাক্তারের পরামর্শ এবং আমার কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরলাম। তাই যে কোন ওষুধ বা চিকিৎসা ভেটেরিনারি চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ