ইউরোপ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়েছে। এক ফরাসী বিজ্ঞানী দাবি শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে স্তরভিত্তিক পরিকল্পনা শুরু হয়েছে।
ইউরোপ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হয়েছে। এক ফরাসী বিজ্ঞানী দাবি করেছেন যে ইউরোপে শীতের প্রভাবে আবারও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
এই প্রসঙ্গে টেনে স্বাস্থ্য মন্ত্রালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর আগামী শীতকালে দেশে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ পরিচালনা করতে একটি স্তরভিত্তিক ব্যাবস্থা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এই তথ্য প্রদান করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, শীতকালে দেশের মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হয়। এর পরেও যদি কোনও কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে প্রথমে গণপরিবহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। এর পাশাপাশি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
জানা গেছে যে দোকান এবং শপিংমলগুলি উন্মুক্ত রাখার জন্য নতুন অঞ্চল ভিত্তিক সময়সূচি তৈরি করা হতে পারে। তবে সব ধরণের কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান - যেমন ব্যাংক, বীমা, শেয়ার বাজার খোলা থাকবে। সরকারী ও বেসরকারী অফিস এবং আদালতও উন্মুক্ত থাকবে। তবে সাস্থবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
সূত্র বলছে যে, আক্রান্তের হার বাড়লে অনলাইনে অফিস-কোর্ট চালানোর উপর জোর দেওয়া হবে। তবে জনগণের জীবিকা ও অর্থনীতি রক্ষার স্বার্থে লকডাউনের মতো পরিস্থিতিতে ফিরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন যে মুখোশ না পড়ে হাসপাতালে গেলে হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাবে না। শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, যে কোনও সরকারী অফিস-আদালতে পরিষেবা পেতে আপনাকে একটি মুখোশ অবশ্যই পরতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সম্প্রতি বলেছেন, স্বাস্থ্য বিধি কার্যকর করতে গণমাধ্যমের সহায়তা নেওয়া হবেএবং তথ্য মন্ত্রণালয় এতে সহায়তা করবে।
এদিকে, দেশের করোনভাইরাস সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য বলছে যে শনিবার (২৪ অক্টোবর) অবধি দেশে সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫০৭ জনে। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৭৮০ জনে।
মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৩ জনে।
এদিকে, শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল অবধি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোন ভাইরাসজনিত কারণে ১১ লক্ষ ৪৯ হাজার ২২৯ জন মারা গেছে এবং সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন. এর মধ্যে ৩ কোটি ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৩২ জন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
এম এন ও টিপস্ - সংগৃহীত নিউজ
0 মন্তব্যসমূহ